দেশের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের এবারের আইপিএল অধ্যায় শেষ হতে খুব বেশিদিন আর বাকি নেই। স্বাভাবিকভাবেই তার জায়গা চেন্নাই সুপার কিংস কাকে দিয়ে পূরণ করবে, সেই প্রশ্ন উঠছিল। সেই জবাবটাই কি দিয়ে দিলো আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি! নতুন করে বিদেশি এক পেসারকে তারা দলে ভিড়িয়েছে, তিনি হচ্ছেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড গ্লিসন। তবে তাকে নেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ড ওপেনার ডেভন কনওয়ের বদলি হিসেবে।
আসরের শুরু থেকেই এই কিউই ক্রিকেটারের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। বাঁ-পায়ের চোটের কারণে এবার কনওয়ে পুরো আসর থেকেই ছিটকে গেলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন তিনি। এরপর সার্জারি করা কনওয়ে মে মাসের মাঝামাঝিতে ফিরতে পারেন বলে আশা করেছিল চেন্নাই।
তবে সেটি আর সম্ভব নয়। তার পরিবর্তে স্বাভাবিকভাবেই কোনো ব্যাটার নেওয়ার কথা ছিল, তবে চেন্নাই দলের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ায় বিদেশি খেলোয়াড়ের স্লটটি পূরণ করা হয়েছে পেসার গ্লিসনকে দিয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য এপ্রিল শেষেই বাংলাদেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ।
তাকে ১ মে পর্যন্ত সময়ের জন্য এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছিল বিসিবি। তাই নিশ্চিতভাবেই আইপিএলের শেষদিকে বড় একটা সময় দলের সেরা এই উইকেটশিকারিকে চেন্নাই পাচ্ছে না। পাঁচ ম্যাচে এখন পর্যন্ত টাইগার পেসার ফিজের শিকার ১০ উইকেট। যা টুর্নামেন্টের সেরা উইকেটশিকারের তালিকায়ও রেখেছে তাকে।
এদিকে ফিজের অনুপস্থিতি পূরণে হয়তো চেন্নাই একাদশে সুযোগ মিলতে পারে ইংলিশ পেসার গ্লিসনের। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের হয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। পেশাদার ক্রিকেটেও তার যাত্রা শুরু হয়েছে কিছুটা দেরিতে, ২৭ বছর বয়সে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন গ্লিসন।
পরবর্তীতে ৩৪ বছর বয়সে ২০২২ সালে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ইংল্যান্ডের জার্সিতে। যেখানে নিজের প্রথম আট ডেলিভারিতে গ্লিসন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রিষাভ পান্তের উইকেট শিকার করেছিলেন। তবে এর আগে কখনোই আইপিএল খেলা হয়নি গ্লিসনের।
যদিও বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেড, বিপিএল, বিগ ব্যাশ, এসএটোয়েন্টি ও আইএল টি-টোয়েন্টিতে তিনি খেলেছেন। সবমিলিয়ে ৯০ টি-টোয়েন্টিতে ১০১ উইকেট শিকার করেন গ্লিসন, যেখানে তার ইকোনমি রেট ৮.১৮। উল্লেখ্য, ২০২৩ আইপিএলে চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল কনওয়ের। ১৫ ম্যাচে এই কিউই ব্যাটার ৫১.৬৯ গড়ে ৬৭২ রান করেছিলেন। ব্যাট করেছেন প্রায় ১৪০ স্ট্রাইকরেটে।
এর মধ্যে বৃষ্টির কারণে তিনদিনে গড়ানো ফাইনাল ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৪৭ রান, পরবর্তীতে ম্যান অব দ্য ফাইনাল পুরস্কারও জেতেন কনওয়ে। তার জায়গায় বিবেচনায় থাকতে পারেন চেন্নাই স্কোয়াডে থাকা আরাভেলি অভনিশ। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার চেন্নাই মহেন্দ্র সিং ধোনির একমাত্র ব্যাকআপ উইকেটকিপারও।